পায়েলী ধর এর কবিতা
লাইফলাইন
দুধ সাদা
মার্কিন কাপড়ে মোড়া আততায়ী ঘুম।
পা থেকে
মাথা ভিজে যায় নোনা জলে।
আদিগন্ত
সমুদ্র স্রোত আর নুন বালি।
কোথাও
একটুকরো চকমকি নেই।
অথচ
ছাইয়ের জন্ম অবশ্যম্ভাবী।
দেদার
ক্যালকুলেশন চলছে ফিসপ্লেটের ঘরে।
গনগনে
আঁচে এবারের মতো সেঁকে ফেলা যাক শেষ
প্রতিশ্রুতি।
এরপর
দেয়াল জুড়ে সাজানো হবে স্মৃতির ঘর সংসার।
যে কোন
ফুলেই মানিয়ে যায় তার ইনটিরিয়র ডেকোরেশন।
আর
উৎসব
শেষে একটু একটু করে জেগে ওঠে শব্দমাখা ঘর।
স্যাটানিক ভারসান অফ নাথিংনেস
যখন একটা
মোমবাতি লিখতে চাইছে অরণ্য শহরের আত্মজীবনী, ঠিক তখনি প্রতিটা
রাস্তার
আততায়ী ফেস্টুন জানিয়ে দিচ্ছে ; আম আদমি কে লিয়ে দো-বখত কা
রোটি-
পানি- বিজলি-নাপাক মোহাব্বত-আর বেহেশতের খোয়াব এ’মুহূর্তে মানব
সম্পদ
উন্নয়নের স্বার্থে বরাদ্দ করা হয়েছে। যদিও পরবর্তীতে বদলে ফেলা হতে পারে
প্রতিশ্রুতির
খোলনলচে অবশ্যই স্বভাবজনিত কারনে। ইতিমধ্যেই সমস্ত ফাঁক ফোঁকড়
বন্ধ করে
সাপ আর নেউলকে কিস্তিমাতের খেলা শেখাচ্ছে খুদ আর কুঁড়ো। প্রশিক্ষনরত
উজবুকদ্বয়
সাধ্যমত আয়ত্ত করছে চুস্ত ডিগবাজি, নাকে খত, পাশাবদল এবং পাশ ফিরে
ঘুমোনোর
কৌশল। কয়েন টসের রহস্য পিঠ দিন কয়েকের ভিতর হিসেব কষে জানিয়ে দেবে
দুই
যোগ্যতার ফলাফল। শ্রেনিবদ্ধ বিজ্ঞাপনে উঠে আসবে সামগ্রিক আয়োজন।
এবার শহর পায়ে পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে ভাবি কেউকেটার উৎস সন্ধানে।
কমোন এররস
নাম কিছু একটা ছিল। হয়তো ‘আগন্তুক’। ইচ্ছানুসারে কখনই যাকে বসন্ত বলা হয়নি।
এখনও ঝড়ের সাথে অভ্যেসমতো বর্ষা আসে। ইলশেগুঁড়ির ফোঁটায় ফোঁটায় গাঢ় হয়
ছন্দপতনের রহস্য। উড়োচিঠিতে লেখা থাকে নতুন জন্মের রুপান্তর। পিকাসোর তুলি থেকে
ধীরে ধীরে খোলস ভাঙে তুলো মেঘ - ছোট্ট টিপ-হাল্কা লিপস্টিক আর বীজপত্র।
আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পরে হাফ শার্ট- স্কার্ট-ক্যাপাচিনো- তেল জল- তৎসহ পুরনো কাসুন্দি।
যাবতীয় জল্পনা আপৎকালীন তৎপরতায় আচমকাই সামলে নিচ্ছে ঝকঝকে নীল চোখ,
মাদক গাঁটছড়া, উলুবনে মুক্তো আর মরফিন দিন গুজরান। তারপর সমস্ত সাংকেতিক বোঝাপড়ার
রাখঢাক আবার গুলিয়ে দিল একটা প্রতিশ্রুতির নাম
আগন্তুক - বসন্ত অথবা মুখোশ।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
বেশ ভালো ,
উত্তরমুছুন