লোকালয়
মনে হয় বাড়িভর্তি লোকালয়।
কারো হাসি। কারো কান্না।
কারো চোখ একচক্ষু। নয়নসমান।
ফাঁকামনে দেখছে নারীর
দৃশ্য।
মাটি ঘেমে গেল।
বিস্ফোরণ
কিছু কিছু দেখা বেশ মনে
পড়ে।
শ্যামলের দেখা।
মেঘের সমান হাঁড়ি। হাঁড়ির
সমান মেঘ।
বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণ।
কীসব বরফঢাকা সাদা দিন –
শ্যামলের হাত উড়ে গেল।
দুধ
বুকের দুধারে কোনো স্তন
নেই।
দুধ নেই।
মাতৃকার কুচোকাঁচা নেই।
রসের হিরণ হাঁড়ি।
সারাদিন হাড়হিম। পাথর পাথর।
বাড়ি
মনে হয় বাড়ি ফিরছ।
বাড়ির দুপাশ জুড়ে অদৃশ্যের
ভাঙা রাস্তা।
আকাশ ফুরিয়ে গেল।
প্রলয়ের কাছাকাছি পৌঁছবে
কখন !
সংসার
সংসারের জ্বালাপোড়া কম নয়।
নৌকোয় দুটি-চারটি
খ্যাপাখেপি।
ওই দ্যাখো ওই দ্যাখো,
পারাপার ভেদ করে অতলে
চলেছে।
লোক
আমি একটা লম্বা লোক, দজ্জাল
মানুষ।
এখনও সায়ংকালে বেশি খাই। কম
খাই।
পেট ফুলে ওঠে।
মা আমি লম্বা লোক, আট দশ
বাইশ তেত্রিশ –
বেড়াতে এলাম আর জলাশয়ে মাথা
ঠুকে গেল।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন