সহলিপি নিয়ে যা যা আমি ভাবতে চেয়েছিলাম
তাহলে বরং ভাবি ভাষার সহলিপি হোলো আগুন। আর বরফের সহলিপি ওই হাওয়াকলের ব্লেড। পানীয়বোতলের গায়ে সাঁটা করিনা কাপুরের ছবির সহলিপি নিশ্চয়ই ওই স্টিকারেই তার পাশে ছাপা বারকোড। তবে
বড়দিনের সহলিপি কিছুতেই ফ্রুট কেক নয়। এরপর
থেকে কখনো কখনো আমি অসহলিপির কথাও ভাবতাম... কৌরব-১১১ রেফার করে বা না করে...
সিনেমা
থেকে রোদ কেটে আনছি
রোদের
আঠা
আর ছবি বুলিয়ে ঘন করছি
দেখছি
মাথায়
অভিধান নিয়ে
লোকেরা
রাস্তা পার হচ্ছে...
আরে!
তুমি দেখছি অনুষঙ্গ-স্মৃতি-কোলাজ-সহলিপি সব একাকার করে ফেলেছো নীলুবাবু! এভাবে হবে? এইসব মায়ামেদুর গোলগাল কথাবার্তা ছাড়ো এবার...
হুম...
তা হবে... তবে এখন সে করে কী! লিখতে বসলেই এইসব ক্লিশে আর ক্ষয়ে যাওয়া অক্ষরমালা টানতে থাকে তাকে... মোবাইল ফোনে জমা হতে
থাকে একটার পর একটা ছোট ছোট অডিও ক্লিপিং... বারো পনেরো কুড়ি চব্বিশ সেকেণ্ডের...
ওরা সবাই কোনও না কোনও একটা লেখার সহলিপি প্রাকলিপি... এখন লিখতে লিখতে উপাংশ ভেঙে
যে যার দিকে চলে গেলে কী হয় সে জানেনা... সাইন থিটা আর কস থিটায় ভেঙে যাওয়া সেই
লিখনপ্রক্রিয়া কি পরস্পরের সহলিপি? হতেও পারে ভাবতে ভালো লাগছে তার... এই যে অফিস
স্পেস... নীচু ডিভাইডারওয়ালা কিউবিকল... বাঁদিক দিয়ে আলো আসছে আর তার মনে পড়ে
যাচ্ছে বেলঘরিয়া হাইস্কুলের চারতলায় ৩২ নম্বর ঘর... একটা ঘর অন্য ঘরটার সহলিপি...
শুধু কয়েক বছর আগেপরে লেখা হয়েছে তাদের... অথচ খুঁটিয়ে ভাবলে মনে হতে পারত
হাইস্কুলের কয়েকটা বাড়ি পরে মহাকালী গার্লস স্কুলই বোধ হয় বেলঘরিয়া হাইস্কুলের
প্রকৃত সহলিপি... সমলিপি... এইভাবে একটা লুপ... কিন্তু একটা কমিটেড লুপের ভেতর সব সবটাই
তো পূর্বনির্ধারিত সুতরাং মৃত, তার মনে হতে থাকে ইয়োর অনার... তার জন্য সওয়াল-জবাব
জারি থাকে... আর তার হাতনোটে বারবার জমা হয় ছেঁড়া ছেঁড়া ক্লিশে হেমন্তকাল... পেরিয়ে যায় আর
দ্যাখে শীত আসছে পুরনো আলুর চপের দোকানের ডালায় শীত আসছে দেওয়ালে টাঙানোর পর ভুলে
যাওয়া আতসকাঁচে... পেরিয়ে যেতে হয়... আর সে
ভাবে কাকে বলে সর্বস্ব? কাকে বলে সর্বস্ব দিয়ে লেখা? ফলিত
কবিতা ক্রমশঃ তাকে নাকি ঠেলে দিয়েছে
প্রান্তিক কবিতার দিকে আর প্রান্তিক কবিতা, ইন টার্ন, ফলিত কবিতার অবধারিত দিকে...
কেউ কারও সহলিপি নয়, হয়ে ওঠেনি উঠবেনা... শুধু শুধুই সে লেখে
আর ফেলে দেয়... নালেখা সমস্ত সহলিপি জুড়ে, ফলতঃ, বেড়ে উঠতে থাকে ব্যাকস্পেস আর
ডিলিট।
সহলিপির
জন্য সহলিপি
অথচ এই
ক্রমশঃ খাদক হয়ে ওঠা মর্বিডিটির মধ্যেও, এমনকি, সহলিপি নিয়ে লেখার ব্যাপারেও একটা
সহলিপি তৈরী হয়ে যায়। যেন ক্লাসনোট। হয়তো এই সেই ভাবনা-স্কিমা যা কখনো মুগ্ধ করার মতো মনে
হয়েছিলো। ইংরিজি হরফে লেখা ওই ছোট টেক্সট
ফাইলটাই আসলে এই ‘সহলিপি
নিয়ে যা যা আমি ভাবতে চেয়েছিলাম’-এর সহলিপি। প্রাকলিপি।
ওপরের এই
ছবিতে
এই যে
পাশাপাশি দুটো জানলা খুলে রাখা
নাকি
দুরকম আলোবাতাস
একটায়
সহলিপির কথা আসবে তার
আর একটার
ভেতর দিয়ে
আলো
তৈরীর কারখানার ভিত কতোটা
গভীর হবে সেই গণিতব্যঞ্জন
এখন
গভীরতা আর গভীরতাকামী একটা কবিতার ফারাক
ওই দুই
জানলার চিরকালীন ফাঁকে
বসে
থাকবে
তারপর
সহলিপির
কথা লিখতে লিখতে
একবার
তবুও ভাববো
উভলিপির
কথা লিখবো কিনা
যেমন
একটা উভমুখী প্রোটোকলের কথা...
সহলিপির নমুনা
মিশ্রভাবনাগুলো
ওখানে হর্ন বাজানোর গন্ধ
হাওয়াকলের
ভেতর বাইরে
ঝিরঝির করছে আলোর মন্তাজ
আর
একটানে নীলি নদী কে পরে
লিখে রাখার জ্যামিতিটুকু
>>
--- অলীক শহর থেকে --- <<
আরও লম্বা হয়ে একটা হ্যালোওওওও
কীভাবে প্রোজেকশন ফেলছে ছোট রাস্তায়...
একটা
ঢালু ট্যাক্সি। যেভাবে সিঁদুরগন্ধ গুঁড়োগুঁড়ো
হয়ে যায়। আমাদের সেতুবিষয়ক ভাবনাগুলো
কামড়ে কামড়ে, ক্রমশ, হেমন্তকালের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছিলো। হাতের তালুতে হারিয়ে যাওয়া একটাই স্মৃতিমুখর বর্ণহীন অপেরাহাউস। অথচ ব্রা-এর হুক, গলে যাওয়া
একেকটা কাটা বাক্য আর ধীরে শক্তপোক্ত হয়ে ওঠা ওই পোড়ো বিকেল... সবাই মিলে একটাই
ভেজা সিম্ফনি। অথচ, আমি
কোনোদিন কাউকে বিয়ে করবো না... তোমাকেও না... এতদূর। দূরের কথায় মৃদু ডাকটাইল হয়ে আসে নির্বাচিত ব্যবহারসমূহ। একটা বারান্দামুখী রাস্তা। যখন ম্যাটিনি আর ইভনিং-এর ছায়া ওভারল্যাপ করে আর একটা মিহি কোলাজ থেকে
একটা একটা করে ঝরে পড়া পীত অক্ষরগুলো... আসলে তুমি বরাবরই আমায় টেকেন ফর
গ্র্যান্টেড ভেবেছ... যা খুশি তাই করেছ...। আসলে ওই রাস্তাগুলোতে অন্য কারো ছায়া লেগে
ছিল। অন্য কারো আলোবাতাস। রেখাচিত্রের যে দিকটায় আলো পড়েনা... দুটো অসমীকরণের
সাধারণ সমাধান অঞ্চল... পেন্সিল ঘষতে থাকি ঘষতে থাকি আর কোথাও ঘন হয়ে আসে একেকটা
ডার্করুম এফেক্ট।
কৃতজ্ঞতা : কৌরব
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন