এ মাসের কবি – মে ২০১৫ – পলাশ দে
কলকাতার কাছে আর কলকাতার দূরে পানিহাটি। সেই পানিহাটির পলাশ। শূন্য
দশকের কবি ও শর্টফিল্মমেকার পলাশ। হয়তো পলাশের কবিতার নতুন বই আসবে শিগগিরই...
হয়তো তার নাম হবে “চশমা যা দেখতে পাচ্ছে না”... এর চেয়ে বেশী আর কিছু পলাশ আপাতত জানতে দিতে চায় না আমাদের...
বড়োজোর এইটুকু...
কবিতা বই –
আমি কিন্তু পারি স্বপ্ন - ২০০৬
ফুঁ - ২০০৮
একা মফসসল - ২০১০
দুয়ো -২০১২
Short Film –
You - 2006
Hitler
Please Come Again - 2008
Little
Tune -
2010
Refugee -
2014
সম্পাদিত
পত্রিকা -
রাখালিয়া (যৌথভাবে)
- কন্ঠীবদল
মে মাস
পলাশের... মে মাস ফুটে উঠুক এই পাতায়... ফুটে উঠুক মন-পলাশীর পদাবলী...
পলাশ দে-র কবিতা
চশমা
যা দেখতে পাচ্ছে না
রসকলি
রসকলি আঁকা
লিঙ্গ
নুয়ে পড়ছে
খিদের মায়ায়
ভাত সেদ্ধর
কথা আমি তো বলিনি
এক মুহূর্তও
ভাবছি না জিভের পোশাক নিয়ে
হা শব্দ হো
শব্দ
দম ফুলছে দম
খাচ্ছি ধমক দাও
লিঙ্গ পেরিয়ে
তছনছ তামাশা অসহ্য টপকে
...
রসকলি আঁকছে
পাণ্ডুলিপি
বাঙাল
দাঁত কোনো
প্রসঙ্গই না এখানে, জাহাজ
অথবা ভোঁ
কাট্টা কলোনি
ফ্ল্যাট হয়ে
যাওয়া বিনীত পুকুর আর স্নান
দাগ নেই
কোথ্থাও এতটুকু
কুকুরের
ল্যাজে একটা ফড়িং
ফড়িঙের খিদেয়
এক ক্যামেরার আলো
ক্যামেরায়
পরতে পরত ধুলো
পঁয়ত্রিশ
বছরের রান্না নরম ও শক্ত হতে হতে
শুধু তোমাকেই
বলছি, হে শোনো,
দুধের দাঁত
রক্ত চুষে
চুষে ভেজাচ্ছে
জেব্রা
ক্রসিং
চশমা ডুবছে
হারমোনিয়াম ওই
আঙুল টপকে গেল
রোদে ঝিমোনো
স্তন... রেওয়াজ ফেরত
বেকার ছেলেদের
দানাপানি উল্টে যায়
তুমি কি
বিলকুল ছাড়াতে পারো বোঁটাগুলো!
একা একলা ঘড়ি
বন্ধ করতে পারো তো বিপ্লবের?
এ জন্মের
সিঁড়ি
রাস্তা পেরোনো
ক্যালেণ্ডার
দাগ ওঠানোর
আগে দোল দিও
জেব্রাক্রসিং
সেতার
পাখির বয়েস
হয়ে গেলে
ডানা
রবিশঙ্কর হয়ে যায়
থার্মোমিটারের
গর্ভে
যে পলাশ
ওঠানামা করছে
শরীরের ভাঁজে।
অসুখে
রেওয়াজের
গুঁড়ো গুঁড়ো গুঁড়ো
ভালবাসি
শব্দটার ব্যবহার
যতই পুরোনো আর
সহ্যের হোক
গ্রিনরুমের
ভেতরে বাইরে শুধুই
ছেঁড়া কাটা
সুর ছন্দ তাল
আমি নেই?
সফর
পাতার হলুদ।
ওপর নীচ। পাতো
হাঁটার
শীৎকার... দাগ দাগে... আহ্
তুমি আর তোমার
পরদেশী
আমি এবং আমার
বর্ডার
চোখে ঝর্ণা
যখন তখন
জল জল কেটে ও
গাইডদাদা
একটা রাস্তা
ঠেলে সরিয়ে দিচ্ছে
অন্য রাস্তা
অন্য নরম
ভিজছি
কাঁচা
কাঁচা রক্ত আর
আমন্ত্রণ আর দ্বিধা
সম্ভাবনা
শব্দকে আমি খুন করে ফেলবো
পাঁজর টানা
লেখা, মাথা নীচু
মোমবাতি...
পালক পালক কান্না
আমি কি আক্রমণ
বুঝেও হাসি ধরে রাখবো!
লাইট জ্বালবো
গোধূলি ভাঙতে ভাঙতে?
কত্ত রকমের নল
বেয়ে পড়েই চলেছে
বীর্য...
থুতু... কফ... রং
মাঝি
ও ট্যুরিস্ট কথাবার্তা
ঝুড়িতে তর্ক
ঝোলায় বাগান ছোট হচ্ছে
দরদাম। রোদ। সঙ্গত।
ঘামজন্ম
-
কাকা,
মাছ ধরতে খুব কষ্ট হয়, না?
-
না
গো –
-
সে
কী! ছোট্ট নৌকোয়, এই ঢেউ... রিস্কি তো –
-
ওই
আর কী...
-
-
কত
মানুষ মারতে মারতে জল ফেরত
তবে এই মাছ উঠে আসে। হাসে
খুনি
খালি গলার
কাছে বসি
মাটি আর মাংস
গাইছি যখন, এক মাত্র
কণ্ডোম ভালো?
তবু খোলা তবু
খেলো
চোখের রস ভুল
করুক লিঙ্গ ভূমিকা
বারান্দায়
টাঙানো ক্লিপের সামনে বসি
কী কী গেঁথে
আছে আর ফসকে গেল যা সব
যাচ্ছে রেশম
রেশম শব্দের ছুট
পোশাক ওই শরীর
ধরতে যায়, ওই
ঈশ্বর বা
শয়তান লিখতেই তো এসেছি
নিজের দিকে
বসলে শুধু খুনি পাল্টে যায়
সওয়ারি
মাংস একটা
দেশের নাম। রক্ত
ধাক্কা দিয়ে
উথলে আসছে ছাই আর বিষগুল্ম
খিদের দিকে
যাবো না কোনো দিন। কক্খোনো
স্পর্শে বলবো
না "কাঁপছে যখন নিশ্চই আদর"
সহজ এই পাইস
হোটেলে বাংলাক্ষেত
ঘাই মারতে
মারতে আঁশটে গন্ধ ... হাওয়া
এমন সওয়ারি
ভাবো জেব্রাক্রসিং ফিরিয়ে আনছে ঘরে
এমন
জেব্রাক্রসিং ভাবো
সওয়ারি
ফিরিয়ে দিচ্ছে
... ঘর
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
চমৎকার লাগল
উত্তরমুছুনমনে আরাম পেলাম পলাশ।
উত্তরমুছুন