না লেখা কবিতারা সব
মধ্যরাত..
ঘুমহীন কাহিনীতে
যতবার ফিরে তাকাবে -
অল্প অল্প কিছু গল্প তাদের ঘুমের
খোঁজে তোমার মুখেই বিশ্রাম পেয়ে যাবে...
ঘুমের ঘোর, ঘুমের ঘর, ঘুমের সে প্রাণে
আমি তোমারই আছি।
রং ফেরাবো না আর,
উক্তি নয় তাই,স্বগতোক্তি এসব...
কে দেবে ইশারা,
ইঙ্গিতের মনে মনে
কে দেবে মনন, বিলাস...?
কতবার বলা হয়েছে জীবন কল্পনায় গড়া
কিছু সৃষ্টিছাড়া পণ...
এখনো বলবে কবিতা?
দোহাই তোমার -
ঘুম এনে দাও আমায়।
অমৃত-কথা
সময় চলে যায় যদিও..
এপথে ওপথে ঠিক যাতায়াত করবে
অলীক কিছু মেঘকথা।
কথা...? কথা এরকম যদি বলি —
একথা সত্যি,ছাপোষা দিনেও
সোনালী কৃষকেরা থইথই বুক-
শরীর খুঁড়ে তুলে এনেছিল তিস্তার নুড়ি।
সমস্ত হাসি আঁচড়ে আঁচড়ে রক্তাক্ত গালে, চোয়ালে
সেদিন ও ভাঙা পাঁজর
তেরাত্তির খুঁজে নিয়ে এসেছে অমৃত।
অমৃতের প্রাণ দরিয়া নৌকা
কত প্রাণ আমার প্রাণের ঢালে..
একটা পালকও আর বাকি নেই,
বনবাসী নগ্নতা নিয়ে কুড়োই
এখন টুকরো যাপন হাসিখানি..
বাঁকা হাসি অথবা
বুনো মোনালিসা ফ্রেম থেকে বাঁধানো আউটহাউস।
হোক না নতুন ব্যাকরন,
অনর্গল বলে যেও সব জাগতিক নিয়ম -
তুচ্ছ তুচ্ছ তুচ্ছ!
সামাজিক বা তার বাইরের কথা
আমরাই তো লিখে দিতে পারি -
যা অনুকরণে অমৃতখোরেরা পৃথিবীতে
আনবে শান্ত বসন্ততিলক -
এ হেমন্তের ঠিক পরে.. ।
হৈমন্তী
চন্দ্রজীবন ছড়িয়ে নিয়েছি আলোকবর্ষ পথে
রং এর জানলা,
জানলার ওপারে সমান্তরাল দৃশ্য
এক থেকে আরেক আলোকবর্ষ -
কাকে আজ জল দেবো?
কিছুই করব না বলেছিলাম।
প্রান্তিক ধাপে এক স্তবকের শেষে অজন্তা নারী
মধ্য স্বপ্নের এপাশ ওপাশ নিয়ে
সযত্নে গুছিয়ে তুলেছি রতিচিহ্ণ।
আকাশী প্রদীপ..
নিজের জ্বলজ্বলে চিলেকোঠা থেকে উষ্ণতা নামে
ধীর পায়ে,শ্যাওলা সবুজ পর্দা সরিয়ে আমিও
আষ্টেপৃষ্ঠে মাখি সিঁড়িপথ।
চলন্তেরা পাথর হয়নি,
আমাকে শক্ত করতে চেয়েছে উষ্ণতার ঝাঁপ।
আমার ক্ষমা, আমার নীহারিকা
অন্তরঙ্গ আবন্ধু উত্তাপ আমাকে শক্ত করতে চায়
শীতল পদক্ষেপই সত্যি হোক বরং
অথবা কবর থেকে বেরিয়ে আসুক সমস্ত জ্বরবোধ..
যেভাবেই ভাবিনা কেন!
তুমি ডাকলেই-কাচবন্দী মৃত সন্ধ্যে সব,আলোকশিখা হয়ে যায়...
Khub valo
উত্তরমুছুন