ফেরা যখন ফেরার = বেওয়ারিশবাজি অনির্বাণ বটব্যাল
ফিরে আসা মানে পক্ষপাত বললে –
দয়াখোর পক্ষাঘাতই স্বীকৃত শোক।
ঠিকানার ফুরিয়েছে আয়ু ,
বেওয়ারিশ আমার ডাকনাম হোক............
দাঁড়ি কমা সমস্ত তর্জমা
পেরিয়ে যে ভাবে স্বাধীন হতে চাইছে পঙক্তিরাজ ... একটা মাত্র অ আমাকে নির্বাণ থেকে আদৌ
কি আজীবন দুরে রেখে দিতে পারে ? ... এত
কথা খাই শব্দ খাই সুর খাই তাল খাই আমি খাই হামি খাই ... জিভ বেয়ে রস বিনিময় ...
আহা লালাবাজি ... নিপুণতায় থুতু গিলে গিলে গভীরতা
তুলে আনি গলার কাছে ... বমি হব। কার কাছে ? যার আছে তার এমনি এমনি আছে ...যার নেই
তার খেই হয়ে দাঁড়াতে গেলে দাঁড়িয়ে যায় আমার কাঠবিড়ালীটি। পাশে বসলে ফুলে ওঠে ফুঁসলে ওঠে... ল্যাজের তিড়িং
লাফে গরম চলকে ওঠে। উথলে ওঠে পরোপকার ... হুঁশিয়ারি খাই-- নিজেকে আই বলবি না...
মাই বলবি না... শুধু দুদু ছুঁয়ে চুমুকের বাহবা কুড়োবি, নরম জুড়োবি ... উষ্ণতা
মারাবি ... শক্ত না হওয়ার ভয়ে উপভোগ? ভোগের বদলে স্বাদহীন
স্বাধীন ন্যাকামি ? ... লেখ্ লেখ্ লিখে ফ্যাল্ হিস্হিস্গুলি,ফিসফিসগুলি ...
স্বাধীনতার আঁটি
বেঁধে দু টাকা দরে বেচে দিলাম ... থানকুনির পেট খারাপ নখকুনির টনটন সব একই বাজার
দরে আদরে চাদরে উদরে কদরে খিল্লি করুক ... ডাণ্ডা হু হু কলমে পতাকা তুললাম আজ এবং
আজ থেকে ......
১.
আকাঙ্ক্ষা চুষতে চুষতে আঙুল, আঙুলের হাড়।
খুলে রেখেছি অভ্যাসের এঁটো
আরামের লবণাক্ত জিভ
গোপন ফাঁক করে ভাঁজে ভাঁজ
নিকুচিতে খুনসুটি প্রসাধন- ঠোঁটের কারুকাজ
কুঁকড়ে কুকুর কুণ্ডলী খিদে
এইবার তাগিদে ফুটল রাস্তার -
অথচ অবহেলায়
পাথর ঘুমোচ্ছে পায়ে
২.
দুধ লুকোতে লুকোতে চালাক হয়ে ওঠা
নাকি চলকে ওঠার সহজপাঠ ?
বিড়ালের অজুহাত লাফ
সন্তর্পণ শিখে নিয়ে শিকেয়
সুরক্ষিত নরম সফেদ কানায় কানায় ।
সর খেয়ে গেলে কেউ
সাদায় উথলে ওঠে –
পায়রা
সুরভিত ব্রা
এবং
এ্যাম্বুলেন্স
৩.
নিঃশ্বাস স্বভাবতই পরকীয়া
নির্জনতা একলার উপাদেয় হলেও
ঘাসে ঘাসে দীর্ঘশ্বাস চিবিয়ে নেয় দুঃখ হরিণ
মেঘে মেঘে ফুলে ফেঁপে ফুসফুস
হাঁপিয়ে ওঠে ভেজা মাটি,
নিভৃত আঁচোড়
শ্বাসকষ্টের থেকে ছুটি
মাইনাস করো
বিশ্রাম পড়ে থাকে
ছাইদানে
ক্যালেন্ডারে কালো
দিন
নিঃশ্বাস স্বভাবতই পরকীয়া । চলে গেলে-
মৃত্যু বোলো না ......উদযাপন দিও ...
তারও আগে - চুমু দিও
ভীড় বাসে
(ক্রমশঃ)
ভাল লাগল
উত্তরমুছুন