ভুলে যাওয়া সুর সে বাবাজী আমার করে দিল রাতের পর রাত
স্মৃতি বড় খুদকুঁড়ো
মাখন মলম লাগানো প্রত্যাশাগুলো এখন যথেষ্ট অচেনা
রাত ফুরোলেও আরেকটা রাত আরশোলা হতে থাকে
ভুলের মাশুল সুগন্ধী পারুলই কিছুটা গুনে দিতে জানে
জানে সেতুর পাশাপাশি হেঁটে যেতে
কুমির লুকিয়ে থাকা জল থেকে ব্যাঙাচিও মুখ বাড়ায়
এক স্যাঙাৎ আরেক স্যাঙাতের গায়ে বুড়বুড়ি কাটে
সেও স্মৃতি, সুমতির পাশ ফিরে শোওয়া, পান বরজের পাশে
গানে গানে ঘুমপাড়ানিয়া দেশ ও নেশা নেশা ফুটকাটুনিরা
চুলকোতে থাকে শরীরের আসবাব
কিছু যে বলতে চায় স্পষ্ট না হলেও
রুমাল নাড়াতে থাকে, নাছোড়
বেহালা বাজতে বাজতে কুশপুতুল পোড়ায়
ক্ষণিকের রাংতা জড়ানো ভুল আমাকে দাঁড় করিয়ে রাখে
পোড়ো বাড়িটার টুটাফাটা সিঁড়িটার গোড়ায়...।
একটা আওয়াজ চেনা চেনা মনে হতে হতে মিলিয়ে গেল
আঁচলওয়ালির দাঁড়ানোর ভঙ্গীটা বড় সত্য হয়ে এল যখন
তখনই এক কাকতাড়ুয়া দুটো কাককে হুস দিল
আকাশ মাটি ফারাকের মধ্যে বাতাবী লেবুর দোল খাওয়া
তোমাকে চেনা লাগছিল বেশ তোমাকে অজানা লাগছিল বেশ
তুমি রেশম চুল ছড়িয়ে রেখেছিলে নাভী থেকে নরম অবধি
পেয়ালা বলেছিল ঠুং, তুমি বলেছিলে ধ্যুস
দুয়ে মিলে তাবৎ ঘড়ি জুড়ে ঝর উঠেছিল নেতানো পাহাড়েও
তার দাপাদাপি মিলিয়ে যেতে যেতেই তোমারও ভঙ্গী বদল
বিকেল প্রসাধনের চিরুনী কোমায় শুয়ে থাকবে
তোমার লিপে স্টিকের বদলে খেলে যাবে গিরগিটিয়া বর্ণ বদল
দু-একটা ভিন্ন মুদ্রা তুমি ভাসিয়ে তুলবে ফ্লাওয়ার ভাসে
তোমার আঁচল অঞ্চল হবে ফুল হবে তুমি হবে দুটো ধ্বনির মধ্যে ব্রিজ...
তিরিশ পেরোতে না পেরোতেই
ডিসেম্বর আমার জন্য নিয়ে আসবে জন্মদিন
আমার আরেকটা বাধ্যতামূলক চিঠি সংখ্যা
খাটের বিপরীতে এসে গুঞ্জন করতে থাকবে
বয়সের খোকা চামচ খিল্লি করে উঠবে বিকার ফিরে পেতে
আমি দোদুল কচিটি থেকে অমাবশ্যা পেরিয়ে যাব
কোনও এক অগ্রিম বুকিং ‘আগে এসো আগে পাবে’র ঘাট পারানিতে
মুখুটিদের হাতে ধরা থাক ঢাল, তলোয়ার ভেঙে খোলামকুচি
‘আমি’কে তোয়াজ করে রূপো-ঝালরের পাখা
এবার তবে ঘুমোতে যাক মাদুর সফেন বাথটাবে
জন্মদিনের একগাছি মোজা কখন যে মাথায় নেচেছে
ভেবে ভেবে এবার তোমাদের ঘটে এসে বসে যাবে বেলকুঁড়ি
শুধু রাতকেই রাত ভেবে আমি আরেকটু ভোরের দিকে
বিভব কবিতার একেকটা পঙক্তির মাঝে গুড়ো গুড়ো আমার চিহ্নগুলি...
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন