লোকটা
১.
বাবা নেই
তবুও কিছু বাবা লেগে আছে খিড়কির জ্বরে
২.
কিছুতেই ট্রেন বিষয়ক কোন স্মৃতি নেই। খুব ভোরে, আজানের হাওয়ায় বাবা
সিঁড়ি শুনতে শুনতে উঠে যান পরাগের ছাদে। বারান্দা গুছিয়ে ব্যাগভর্তি কোকিল
তুলে দেন মা ... যেন ইস্টিশান পেরুতেই জেব্রার গা বেয়ে সেই ডোরা
নেমে আসে বরফের বনে
পাইন
একটা হঠাৎ আদর লেগে আছে। সিনট্যাক্স ভেঙে ভেঙে যেভাবে রোদেরা এগিয়ে যাচ্ছে তার গজলের দিকে
কেবল আততায়ীই বলতে পারি তাকে। কী সব চেনা চেনা ছুতো অথচ অচেনায় এমন নদীরঙ কতদিন দেখিনি।
তুলো রাশি কোথায় থাকে ? সে কি তিত পুঁটির মতো লাফিয়ে ওঠে আঙুরের ধ্যানে ?
আচমকাই কতগুলো জানালায় গাছ বেড়ে ওঠে। উহুদিন এসব হেঁটে যাওয়া পালকের গায়ে আঙুল রাখেনি মিথপ্রায়
অলিভের ছায়া। সেইসব মাঠের কথায় তক্ষকের দরোজাগুলো বন্ধরঙের তালা। একবার হাত হারিয়ে ফেলেছিলাম
আর আমার আঙুলগুলো ঈশ্বরের দিকে যেতে যেতে পেয়ারার গায়ে বুনেছিল পাখি। সেই থেকে
মাসিমা রোজ আসেন তুলশিকে ফুল দিতে আমি শুধু উপোসের শব্দ পাই আর বুঝে নিই
রাতের ও পাইন থাকে খুনের আড়ালে
ডানা
পাখিটা ডানা ভাঙছে। নুয়ে-পড়া ঘড়ির ভেতর
টপ টপ করে ঝরে যাচ্ছে ব্রহ্মান্ডের বাড়ি।
কে যেন ফাঁক করছে অন্ধকার
শামুকের ঠোঁটে
হরিণেরা জল খেতে এলে কোথাও কুমিরপ্রবন হাওয়া
ডুবে যায় ব্রেইলের ক্লাশে
অতিন্দ্রীয় ডুমুরের তলে কেঁপে ওঠে নিস্তব্ধ দেয়াল