চিনুয়া আচেবে
চিনুয়া আচেবে (১৬ নভেম্বর ১৯৩০- ২১ মার্চ ২০১৩)। তাঁর আসল নাম কিন্তু Albert Chinualumogu
Achebe । নাইজেরিয়ার একজন ইবো (ইংরেজি
বানানে igbo, এবং এই g-এর উচ্চারণ
আমাদের ভাষায় দুঃসাধ্য।) মানুষ তিনি। আফ্রিকান-ইংরেজি সাহিত্যের পিতামহ। প্রকৃত
অর্থেই আফ্রিকান সাহিত্যকে আন্তর্জাতিক দরবারে গড়ে দিয়েছেন। তাঁর ‘থিংস ফল অ্যাপার্ট’ (১৯৫৮) সারা পৃথিবীতে
আফ্রিকান সাহিত্যের মুখ হিসেবে পরিচিত।
লেখক হিসেবে চিনুয়া আচেবের ভুবনব্যাপী বিস্তারের
পিছনে আফ্রিকার অন্ধকারের প্রতি বাকি পৃথিবীর ঢের কৌতুহল কাজ করেছে, যার নিবৃত্তি
তিনি নিজের আখ্যানগুলিতে ঘটিয়েছেন। আফ্রিকান অভিজ্ঞতার সারাৎসার হিসেবে ‘থিংস ফল
অ্যাপার্ট’ সারা পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ কপি বিক্রি হয়েছে। উত্তর-উপনিবেশ সাহিত্যচর্চায় অনিবার্য নাম আজ
চিনুয়া আচেবে। পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও পোস্ট-কলোনিয়ালিজম
সম্পর্কিত বক্তৃতা দেওয়ার সময় ইংরেজির অধ্যাপককে তাঁর নাম উচ্চারণ করতেই হয়।
বলা বাহুল্য, চিনুয়া
আচেবে একজন ইবো হলেও ইবো ভাষার লেখক নন। তিনি ইংরেজি ভাষার লেখক। বিশ্বভাষার লেখক।
গড়ে দিয়েছেন আফ্রিকান ইংলিশ সাহিত্যকে। আমরা তাঁকে অনুবাদে পড়ি না। আমরাও ইংরেজিটা
জানি। ঠিক যেভাবে তিনি জেনেছেন, সেই একই প্রভুদের সূত্রে।
চিনুয়া আচেবের কবিতা তাঁর উপন্যাসের মতো
বহুলপঠিত না হলেও, তার গুরুত্ব আছে।
চিনুয়া আচেবের তিনটি কবিতা
অনুবাদঃ অনুপম মুখোপাধ্যায়
বেনিন রোড
গতিই হল হিংসা
শক্তিই হল হিংসা
ওজনই হিংসা
প্রজাপতিটি নিরাপত্তা খোঁজে
লঘুতার মধ্যে
ওজনহীন তরঙ্গায়িত উড়ানে
কিন্তু দুই রাস্তার
মিলনস্থলে চিত্রবিচিত্র আলো
এসে পড়ে পুরাতন বৃক্ষগুলো
থেকে দর্পিত নতুন হাইওয়েটির বুকে
আমাদের পৃথক বার্তাগুলোর
সংঘর্ষ হয়
আমি উভয়ের জন্যই আসি ক্ষমতা
বস্তাবন্দী করে
আর কোমল প্রজাপতিটি বিলিয়ে
দিতে চায় নিজেকে
ঊজ্জ্বল হলুদ বলিদানে
আমার কঠোর সিলিকন-ঢালটির
উপরে
বসন্তের পাইন গাছ
পাইন গাছ
পতাকা বহনকারী
সবুজ স্মৃতির
জনশূন্য প্রহরটির ভাঙন জুড়ে
অনুগত গাছ
পাহারা দেয় দাঁড়িয়ে
উগ্র পান্নাসুলভ সবুজে একা
প্রকৃতির অনিচ্ছুক মান
অনুসারে
পাইন গাছ
ছায়ার মধ্যে হারিয়ে গেছে
এখন
বিশ্বাসঘাতকদের লোকদেখানো
সাজগোজের ছটায়
নির্লজ্জ কুচকাওয়াজে ফিরে
চলেছে তারা যে রংগুলোকে ঠকিয়েছিল সেগুলোরই দিকে
চমৎকার গাছ
ঋজু এবং বিশ্বাসের যোগ্য
কোন বিদ্যালয় আমাকে শেখাবে
বলো তো
তোমার ওই নীরব, একগুঁয়ে
সততা?
বিমান হানা
এত দ্রুত এল
মরণের পাখি
সোভিয়েত প্রযুক্তির অশুভ
অরণ্যটি থেকে
একটি লোক রাস্তা পেরোনর সময়
বন্ধুকে অভিবাদন জানাতে
গিয়েও
সেই তুলনায় বড্ড বেশি শ্লথ
হয়ে পড়ল।
বন্ধুটি তো দু-টুকরো হয়ে
এখন অন্যরকম উদ্বেগে ভুগছে
বন্ধুত্বপূর্ণ করমর্দনের
বদলে
এই দুপুরে।
(ঋণঃ কবিতীর্থ)
Anekkhon dhore porlam apnar swapner baak.Anek kichu bolar chilo kintu tar jaigata anyo.Jeta bolte chai sorasori apni anubader kobitai Rahul Dravid r cinema review Te so chin Tendulkar,Apnar bidesi cinemar review Anandabazar er review er cheye powerful.Editor hisebe apni gotanugotikotakei grammar hisebe niyechen Dhanyobad.
উত্তরমুছুনশেষের উক্তিটা ... ঠিকই বলেছেন। আমি অবিশ্যি নিজেকে সম্পাদক বলি না। তবে একটা কাগজ পরিচালিত হয় সমাজের দিকে তাকিয়ে। সমাজের ভিতরে থেকেই সেটা করতে হয়। বাইরে গিয়ে নয়। খুব ভাল লাগল।
মুছুনমূল কবিতাটার পাশে রেখে অনুবাদটা পড়তে পারলে ভালো লাগতো।
উত্তরমুছুনকবিতাগুলো আন্তর্জালে সহজলভ্য
মুছুন