এ মাসের কবি - অগাস্ট ২০১৪
জয়শীলা
গুহ বাগচী
কবিতাতেই তো পরিচয়। আর আলাদা করে পরিচিতি পর্বটা না থাকলেই
ভালো হতো... মনে করে জয়শীলা। খুব খুব সংক্ষেপে কয়েকলাইন...
জলপাইগুড়িতে জন্ম
ও বেড়ে ওঠা। স্কুলজীবন থেকে কবিতার সাথে বসবাস। ২০০৫ সালে প্রথম লিটল ম্যাগে কবিতা প্রকাশ। একমাত্র কবিতার বই দেবদারু অপেরা ২০১৩ সালে প্রকাশিত। পেশা শিক্ষকতা। জলপাইগুড়ি দূরদর্শন কেন্দ্রে আংশিক সময়ের
সঞ্চালিকা।
ব্যাস। এবার কবিতায় অনেকটা জয়শীলা। এ মাসের কবি...
জয়শীলা গুহ বাগচী-র কবিতা
চোরকাঁটা
।১।
ভয় বলে ডাকলে
ছটফটে চায়ের কাপ
ধোঁয়া উপচানো মিস্টিক
অবিশ্বাসের কারিগরি
জড়িয়ে মড়িয়ে তাকিয়ে থাকে
যেমন মতিগতি!
।২।
রাস্তার মাঝখানে
মাঝেমাঝে
পুটুনদার বাড়ি
এত খালি হাত
হয়নি কখনো
ক্যারমের গুটি গুনে গুনে
সংখ্যা পেরিয়ে গেছে
সংখ্যারা এখন অগোছালো গান
।৩।
যাজক হারিয়ে
কফিন ভরে ওঠে রঙিন চুড়িতে
খিলখিল হাসে সুইসাইড
মৃত ডাকলে
পায়রা ছড়িয়ে যায় ঠোঁটে
।৪।
ভাঙ্গাচোরা রাস্তার ভেতর
কাঁকড়ার হাঁকডাক
চমকে ওঠে শিরোনাম
দুপুরের ঘুম মানে তরল অমনোযোগ
বিছানার ঢেউ থেকে
উঠে পড়ে অতীত
যেমন প্রশ্রয়ের হাসি...
রঙ্গ
।১।
ঝুমুরের খেউরে ডানা ঝাড়ে বাদুড়
ঠোঁটের কষে গড়িয়ে যায় অবাক
ঘন হয় আইশ্যাডো
।২।
জুতোর তলা আর পিঁপড়ের বিস্ফারিত পেট
ছোট ছোট পেট খেলা করে উঠোনে
পেটের মধ্যে বড় হতে থাকে জুতো
।৩।
ক্রমাগত জমি খুলে ফেলে নির্ভার হয় বাসযোগ্যতা
বোকাসোকা জামার করিডর
আলনায় নিয়তি ঝুলিয়ে রাখে
পোকা
।১।
মাথার ওপর থেকে
বৃষ্টি সরে গেলে
ওমন বন্ধুও
তালসারি চলে যায়
ফুঁয়ের সমান কিছু
সাদাকালো
অহংকারী
চামড়াছুতো
ওহো
যাদের জন্য
থার্মোমিটার আর ডাস্টবিন
।২।
গ্রীষ্ম চলতে
চলতে
এই এক ঠাঁই
বালিকার
স্নেহপারাবত
প্রাচীন কথকতা
সিনেমার ক্যান
ভরে দেবে
যদি
খাদকের চাটনি
আর
মাছির পুঞ্জ
পুঞ্জ ধারাপাত
চ্যাটচ্যাটে
ফাঁকি
আশেপাশের কবুতরা ফুল
যেন
এই প্রাত্যহিক
রজঃ
।৩।
এখন আঙ্গিক
চৈ চৈ বলে ডাকলেও
সাদা ধপধপ করে না
রজকিনী
গা থেকে খসে গেছে
রামী
এখন হট চিকেনের
মুচমুচে পেয়াসা
কলহান্তরিতা রাধা
।৪।
গা কাঁটা দেওয়া
ফেরানোর ইচ্ছে
কাশতে কাশতে
উপচানো দমক
শাওয়ারের
সান্ত্বনায়
সতেজ
বমি পরবর্তী
শান্ত অবতারণা
দেওয়ালের কুহর
সাবধানী
।৫।
একদিন ঝোড়ো রাগ
দুধভাতে মেশে
পরক্ষণেই
চোখ থেকে দুধ পড়ে
টপটপ
মাঝি মাল্লার
সামলাও গান
নৌকোর মুখ ডুবে
যায় দুধে
উচ্চারণ
ভার
অস্থিরতা বেঁধে নিলে হাতে
জামাকাপড়ের ফাঁক বরাবর
কত মানুষ তলিয়ে যায়
যেখানে
তোমার নাম পিথাগোরাস
জল
ঝাপসা দিন থেকে উপোসী হাঁ
সেতুর নাম চালাকি
জলের নাম ভয়
কেন না
মনখারাপের উৎস
ভেঙে যাবে এবার
মুখ
কলমের আদল ছুঁয়ে দিলে
তোমার জমানো ধাঁধা আর
নারকেলপাতার পেছল
যেখানে
আমি নেই বলে
আমারই উচ্চারণ
জুতো
তানিয়ার
সন্ধ্যেটা ঠিক ওর জুতো, শ্যাবি। কবে একটা ভাল
জুতো কেনা হবে আর সন্ধ্যেটা বদলে গিয়ে ঝলমলে হয়ে উঠবে তা সে জানে না। খুব ব্যস্ত হয়ে ও ঘুরতে থাকে সন্ধ্যের চারদিকে। সন্ধ্যেটা ষড়ভুজ। সব বাহু ছুঁয়ে ও মাঝে এসে দাঁড়ায়, হাই তোলে। জুতোটা ডুবে যাচ্ছে রাতে। তানিয়া হাত দিয়ে রাত ঝাড়তে থাকে।
ফাঁক
যেভাবেই ইট গাঁথা হোক
একটা হাসিমুখ ফাঁকি
মাঝবরাবর গা এলিয়ে
উদ্দেশ্যকে বিবিধ বলে ডাকে
বাটোয়ারার পর
যা থাকে
সরল বাংলা মানে বই
স্বজাতীয় আড্ডা
অথবা
নাকি সুর
যাই হোক
ঝাউবনে আঁশবটির গল্প ফুরোয় না
চুলা
নীচে রেখে যাওয়া অসুখ
ছেড়ে যাওয়া অনুবাদ
টুপটুপ রেডিটাসকের শিশির
খেলনা বাড়ী থেকে
খুঁজে নিই রোদের রাপচার
এইতো বুদ্ধ কফি তুলো
এবার ছুটি ঘোড়ার নালের স্ট্রেচারে
ছুট ছুট
চড়াই উৎরাই
একটা ঝর্ণায় ধুয়ে যায় রক্ত
হাত ঢুকিয়ে দিই পাহাড়ের পেটে
ছিঁড়ে আনি আনন্দ
আর
নামতে নামতেই
সব রান্না হয়ে যায়
জানি
মুঠো খুলে দেব
জলের ভেতর উড়ে যাক
সাদা বক
যেভাবে উড়ে যায় অপ্রকাশ
কোন এক সীমিতের বোঝাপড়ায়
কিন্তু সেলাই চায়নি তো
জামাকাপড়ের মাপ
প্রতিদিন বদলে গেলে
সেই গাছপালা হেসে ওঠে
যারা শেকড় ভুলে গেছে
যাদের রঙ আজো আমি
নীল বলে জানি
কয়েক দফা
এখনো স্পষ্ট হোল না
সম্মোহনের ইতিহাস
বিমূর্ত মেঘ যেন
লুকিয়ে রেখেছে
ফোঁটা ফোঁটা বাষ্পের ক্লান্তি
কথাও দুই পথ ধরে
মুছে নেয় আদানপ্রদান
বৃষ্টির পর ঝকঝক করে শুঁয়ো
শুয়ে আছি যেখানে
স্কেল বরাবর
বড় হয় পেছনের ছুরি
জুতোর তলা আর পিঁপড়ের বিস্ফারিত পেট
উত্তরমুছুনছোট ছোট পেট খেলা করে উঠোনে
পেটের মধ্যে বড় হতে থাকে জুতো.......
adbhut ghor e rekhhe day ei pet ei juto ei ...vabi amio uthone dekhte pabo nijeke...oi vabe...darun darun....(astanirjan)
এক একটি শব্দ গভীরতায় ডুব দিতে শেখায় ,
উত্তরমুছুনঅনন্য গভীর লেখনী ।
একটানা লিখে ফেলা কবিতা
উত্তরমুছুন