সাপ আর সমুদ্র
একই সাথে খোলস পালটায়।
মা-র পেটের ভিতর দোলনা ।মাঝে মাঝে
মনে হয়, দুলতে দুলতে সে সারাজীবন
একই গান গাইছে। ঘিলু,
লম্বা বালিয়ারি
ও দধিমঙ্গল। পরস্পরকে চোখে চোখে রাখে।
হাঁটু মুড়ে বসে মেয়েটি।
শেষ কোথায় আজও জানি না।
কেবল টিভির লাইনে মাথা রেখে চাঁদ
ও মৃত বিড়াল,
যুদ্ধজয়ের গান গাইছে।
শিশি ভাঙার শব্দে,
খুচরো ফেলার শব্দে,-
কে যেন বাড়ির দিকে আসা
উড়োজাহাজটি হাইজ্যাক করলো।
আমায় ছুঁয়ে দিলেই ছাই।
খুনসুটির লম্বা বাতিঘর। আজ
আয়নায় মুখ দেখছে অন্ধকার।
ফল
গাড়ির হর্নের ভিতর লিচুগুলি। পথ দেখায়।
পুরানো কুয়ো গানের দু-গালে হাত রেখে।
শুনছে এরোপ্লেনের চিঠি আর হাত নাড়া।
গভীর রাতে চা-বাগান সাফ করে
বারান্দার মোজাইক। সাফ
করে
চিন্তা-ভাবনা এবং ভুলগুলি।
বেরনোর পথ জানা না থাকলে,
কোনও বইয়ের ভিতর ঢোকা উচিত নয়।
একথা মনে হলেই কেউ কেউ জুতো পরতে
ভুলে যায়। পারফিউম,
এক্কাগাড়ি,
ভাঙা বোতল নিয়ে যায় ছোটবেলায়,
রথের মেলায়। ছোটার জন্য
নিজেকে প্রস্তুত রাখি।
প্রস্তুত রাখি পেনড্রাইভ, মাউস ও
অলীক দুনিয়া থেকে উড়ে যাওয়া।
ধীমানের মৃত্যু আমাকে আগ্রহী করে তোলে।
সম্ভাবনা
জলে ধাক্কা
দিয়ে মাছ দরজা খুলতে বলে।
বৃষ্টিতে
ভিজে বাড়ি ফিরলে,
মেয়েদের
ডাকনাম হয়ে যায় বৃষ্টি।
পা ধোওয়ার
সময় শুধুমাত্র কেউ কেউ
মাটির দিকে
তাকায়। হলুদ মদ।
ফিসফিস করে
কাচের গ্লাসকে ডাকছে।
মৃত ঠাকুমা
বিকেলবেলা
ধুয়ে-মুছে
যা তাকে সাজিয়ে রেখেছিল।
রান্নাঘর পেরলো
হাওয়া।
কেউ নামলো।
মুখখানি।
পেরলো
জম্পুই হিলের টানা বারান্দা।
কপালে গুলির
অন্ধকার গর্ত।
তাকে ঘিরে
নাচছে আগুন। বুদ্ধর
মারুতি
ভ্যান। জিভের উপর আঙুল।
রানওয়ে।
উলুধ্বনি। ছোট্ট ছুঁচ -
বিঁধলে
ভূমিকম্প হতে পারে।
গানেরও আগে
যে সুর ছিল ছিল পৃথিবীতে।
হতে পারে।
তার সাথে
আমার বিবাহ।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন