১। পাখি সব করে রব
শুরু হওয়ার দিকে অপেক্ষা গড়িয়ে
পড়ছে
বরফবলের ঘন হয়ে ওঠা নিয়ে
এই ধরো ত্বক...তার যতটুকু
স্বচ্ছতা
ফিলামেন্ট জ্বালিয়ে রেখেছে
সেই সমস্ত উচ্ছ্বাসের লেখচিত্র
খুঁড়ে
শঙ্খ লাগছে দেহে
শ্বাসমূলের দিকে এগিয়ে ধরছে
জলপাত্র
তারও তো তৃষ্ণার কাছে পৌঁছতে
কত দেরি হয়ে যাচ্ছে
যাকে খুলে রাখছ যাকে গুটিয়ে নিচ্ছো
সেই ঘুড়ি ও মাঞ্জার মাঝখান
দিয়ে একটা ধারালো
ফালাফালা হয়ে নামিয়ে রাখছে
নিজেকেই
দংশন চিহ্নে দোল খাওয়া
পাখপাখালি
অবিকল বৃষ্টির শব্দে ডেকে উঠলে
ভোর এসে পৌঁছলো
২। কুসুমের কাল
পা ছড়িয়ে বসে থাকা হাতঘড়ির
ভেতর
একটা একটা করে সেকেন্ড মিনিট
নির্ধারিত হয়ে থাকার দিকেই
অথচ কোনো বিশ্বাসযোগ্য
রুটম্যাপ নেই, কম্পাস নেই
সমস্ত খোলামেলা পান্ডুলিপি
ইথারপ্রেরিত
জ্বলে আর নেভে
তোমার পায়ের কাছেই বসে থাকে
চিবুকে জলের দাগ, ভারী চোখ, নিচু
মাথা সামান্য জীবন
পালকের সাদা থেকে রঙ
নিজেকে গুছিয়ে তুলে অবিকল ডানা
হতে চাইছে
ঠিক তখনি
পুং-কেশরের বিভ্রমে দুপুরের এত
আয়োজন
৩। স্পর্শ
তোমাকে অসহায় মনে হয়
সেই না পাঠানো প্রত্নচিহ্নের
কাছে
হারিয়ে ফেলা রাস্তার অজুহাতে
নিজেকেই খুঁজে
সরে যাওয়া কক্ষপথ
কতটা আলোয় পাশ ফেরে কতটা কালোয়
চন্দ্রহারের বাহানায় জ্যোৎস্না
ছলাৎ
অথচ স্পর্শ পৌঁছতে পারছেনা বলে
এই সমস্ত জনপদ ক্রমশই যাদুঘর
স্তূপের আকারে ধাপে ধাপে নেমে
যাচ্ছে
হেলে পড়া মিনারের গায়ে ততোধিক
হেলে পড়া ছায়া
প্রাণপণ জাপটে রেখেছে যাকে
সেই পতনোন্মুখ আলো কোনও মিথ্যা
বলেনি
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
"হেলে পড়া মিনারের গায়ে ততোধিক হেলে পড়া ছায়া
উত্তরমুছুনপ্রাণপণ জাপটে রেখেছে যাকে
সেই পতনোন্মুখ আলো কোনও মিথ্যা বলেনি"
... ... ...