লাফ ডুব : নিঝুম গ্রন্থ সিরিজ
থেকে
পরিসর চমৎকৃত। অতিশয় আনন্দধবল।
এই পরিসরে তুমি খাবলা মেরে
চুনোপুটি ধরো।
মাথার অমলকণা শ্বেতকণা
ধূসরকণিকা
থরে ও বিথরে থাকে : মধ্যে শুধু
দমবন্ধ, মরো!
থাকো তুমি ঘাপটি মেরে। ওঁত
পেতে। আজানুশয়ান
কতদিন পারো নাই? খাপ পেতে, খপ্
করে ধরা, অনুধ্যান।
পরিসর কুঞ্জকেলি। দিকে দিকে
হুল্লোড়প্রবণ।
পরিসরে সমস্বরে কীর্তনের রোল,
ডামাডোল।
পরিসর অন্নময়। খুঁটে খাওয়া
আচরিত বিধি।
পরিসর জমাট ও বদ্ধনালী – হৃদয়প্রণালী
ঘৃতপক্ক তন্ডুলের বিবর্ণতাগুণে
আঠা আঠা।
তীব্র লংকার আর গুজবের ঝালে
কলঙ্কিত।
এমতাবস্থায় তুমি স্থির শান্ত।
অবসরে নিদ্রিত, মুদ্রিত।
হঠাৎ কী তান্ডবের, হঠাৎ কী
নর্তনের ঘোর লাগে, জেগে উঠে তুই
খলরবলর করে হাঁকপাকাস, মাছ যেন
ডাঙায় কর্দমে
হঠাৎ সে প্রণালীতে সোঁ সোঁ
শব্দ, বাতাসের টান
ঘড়াৎ ঘুড়াৎ শব্দ, আঠা কর্দমের
তাল কোথায় হাপিশ
হঠাৎ এ শান্ত স্থিত দিনে আসে
ঘুর্ণিময় চেতনাহদিশ
অতঃপর মৃতবৎ স্থিতচিত্তে ঢুকে
পড়ে উল্লসিত, জেগে ওঠাটির নীল বিষ
নিঝুম গ্রন্থের কাব্যে হঠাৎ এক
বিপুল উত্তুরে শীত এসে পড়ল, শুকনো পাতা ওড়ে
হাতের আঙুলগুলি চটচটে
রক্তপুঁজে মাখা-আঁটা, ফের নড়ে চড়ে
নিঝুম গ্রন্থাগারে সর্সর্
আপনা থেকে ঘুরে যায় টেবিল চেয়ার
আলুথালু বক্ষদেশে ওড়না যেন উড়ে
যায়, ফেরাবে কে আর।
জমাট অন্ধতাবাষ্পে হু হু
স্পন্দ, অসংখ্য জোয়ার
ভরাট পলির ছোট খানাখন্দে ঢুকে
পড়ছে, বেড়ে
উঠছে তার ঢেউ আর স্রোত আর খান
খান করছে বাঁধ, কাচের জানালা...
এ মুহূর্ত থেকে তোর মাথা বলবে,
দেহ বলবে, হৃদয়ও বলবে লাফডুব...
এ মুহুর্ত থেকে তুই বেঁচে উঠে
জেগে উঠে জ্যান্ত হয়ে যাস তবে, খুব।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
অপূর্ব!
উত্তরমুছুন